

Antareep Sharodio 1432, অন্তরীপ শারদীয় ১৪৩২
বিশ্বপ্রকৃতি ভারসাম্যে বিশ্বাস করে। সৃষ্টির আদি হতে অন্ত পর্যন্ত তাই এই ভারসাম্যেরই সন্ধান। আর যদি মানুষের লোভ আর অবিমৃষ্যকারিতায় এ ভারসাম্য টলমল করে ওঠে, অযোগ্য অধিকার করে যোগ্যের স্থান, তখনই আদ্যাশক্তি প্রকৃতিমাতা নিজের হাতে তুলে নেন সমাধানের ভার।
বিশ্বপ্রকৃতির অনন্তমানসে দুষ্কৃতী বিনাশে, সাধু পরিত্রাণে সেই আদ্যাশক্তি বারংবার অবতীর্ণা হয়েছেন। তাঁর সমগ্র অস্তিত্বের শুদ্ধিস্পর্শে বিশ্বব্রহ্মাণ্ড ভারসাম্যে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে বারংবার। সেই শুভশক্তির অমোঘ বিধানেই অনন্ত ছায়াপথ থেকে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র উপলখণ্ডশরীরে সজ্জিত হয়েছে এক সুশৃঙ্খল বিন্যাস। আর সেই আদ্যশক্তিকে আপন বিদ্যা-বুদ্ধি-ক্ষমতা দিয়ে সাহায্য করেছে এ মহাবিশ্বের প্রতিটি শুভবুদ্ধিসম্পন্ন জাতক।
আজ এ শারদীয়ায় তাই সমগ্র বাঙালিজাতি আরও একবার করছে দেবীর আহ্বান— যেটুকু সাধ্য তা দিয়ে। সেই আহ্বানযজ্ঞে যোগ দিতে এগিয়ে এসেছে অন্তরীপও। সৎসাহিত্য তার আয়ূধ। সৎচিন্তার বিকাশ তার আকাঙ্ক্ষা। দেবীপ্রণামে তাই অন্তরীপ পত্রিকা সযত্নে তুলে ধরেছে শারদ সাহিত্যের এক অনন্য সম্ভার। যেখানে ইতিহাসচেতনা, সমাজচেতনা, মননচর্যা, বৌদ্ধিক অনুশীলন ও সাহসিকতার মতো গুণাবলির সন্ধান করা হয়েছে ফিকশন ও নন-ফিকশনে। একগুচ্ছ উপন্যাস-গল্প-কবিতা এবং বিশেষ রচনা ও প্রবন্ধে খুঁজে পেতে চাওয়া হয়েছে বাঙালির স্বরূপ, বাঙালি পাঠকের হৃদয়ের পথ।
অন্তরীপ আশা করে, পাঠকের মনের অন্তঃস্থলে এই শারদ-অর্ঘ্যটি স্থান করে নেবে। কামনা করে, এই উপচার দেবীপ্রণামে অপ্রতুল হবে না। কেননা, এক সামান্য কাঠবিড়ালিও এক বিশাল সেতুতে বালিমুঠি অবদান রাখতে পেরেছিল কখনও।